,

বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় অল্প সময়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে ॥ ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

সময় ডেস্ক ॥ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন করে বঙ্গবন্ধু পরিকল্পিতভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ৭৫’এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সে উন্নয়ন মাত্রাকে নস্যাৎ করে দেয় ঘাতকেরা। তিনি বলেন, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতোই একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর সঠিক দিকনির্দেশনা থাকায় এত অল্প সময়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশকে স্বাধীন করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম। প্রতিমন্ত্রী বলেন,বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা দেখে স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালীন দুর্যোগ ঝুকি-হ্রাসে উপকূলীয় বনায়ন, বেডড়বাঁধ নির্মাণ এবং ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি(সিপিপি) চালু করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা হতে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে অগ্রসর হয়েই বাংলাদেশ আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ১৫ই আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এগিয়ে আসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এবি তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে দাঁডড়য়েছে । তিনি বলেন আগামী ২১০০ সালকে সামনে রেখে উন্নয়নের রোডম্যাপ তৈরি করছে বর্তমান সরকার । সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বের কারণেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি । তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বঙ্গবন্ধুর দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর খবর বিশ্বের বিখ্যাত পত্রিকায় প্রচারিত হয়েছে । বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা এদেশে জন্ম হয়েছে বলেই আমরা একটা স্বাধীন ভূখন্ড পেয়েছি। পরে পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর